এসএসসি পদার্থবিজ্ঞান ব্যবহারিক: শিক্ষার্থীর শারীরিক ক্ষমতা বের করা।

এসএসসি পদার্থবিজ্ঞান ব্যবহারিক: শিক্ষার্থীর শারীরিক ক্ষমতা বের করা।

৯ম-১০ম শ্রেণি এবং এসএসসি পরিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে আমরা আলোচনা করব কিভাবে তোমরা পদার্থবিজ্ঞান ব্যবহারিক খাতায় “শিক্ষার্থীর শারীরিক ক্ষমতা নির্ণয়” পরীক্ষণটি লিখবে। আশা রাখি পোস্টটি তোমাদের উপকারে আসবে এবং পোস্টটি ভাল লাগলে বন্ধুদের সাথে আমাদের উৎসাহিত করবে। সেই সাথে তোমাদের মূল্যবান মতামত ও পরামর্শ জানাতে ভূলবে।

পরীক্ষণের নাম

শিক্ষার্থীর শারীরিক ক্ষমতা বের করা।

পরীক্ষণের উদ্দেশ্য:

ক্ষমতা নির্ণয় এবং নিজের বিভিন্ন সময়ে প্রয়োগকৃত ক্ষমতার তুলনা এবং অপরের ক্ষমতার সাথে তুলনা করা।

তত্ত্ব:

ক্ষমতা শব্দটি ক্ষেত্র বিশেষে শক্তি, সামর্থ্য বা দক্ষতাকে নির্দেশ করে। কোনো বস্তু একক সময়ে যে পরিমাণ কাজ করতে পারে, তা-ই হলো ঐ বস্তুর ক্ষমতা। কোনো বস্তু t সময়ে W পরিমাণ কাজ সম্পন্ন করলে-

প্রযুক্ত ক্ষমতা, P=W/t

নির্দিষ্ট পরিমাণ কাজ কোনো ব্যক্তি বা বস্তু যত কম সময়ে সম্পাদন করতে পারবে তার ক্ষমতা তত বেশি।

প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি:

১. থামা ঘড়ি

২. রুলার

৩. স্কেল

৪. পেন্সিল

৫. ওয়েট মেশিন/ওজন মাপার যন্ত্র,

৬. ক্যালকুলেটর ইত্যাদি।

কাজের ধারা:

১. পরীক্ষণের জন্য স্কুলের একটি চারতলা দালান ঠিক করা হল।
২. উক্ত দালানের ছাদে উঠার সিঁড়ির সংখ্যা গণনা করে 60 পাওয়া গেল।
৩. ভবনটির একটি সিঁড়ির উচ্চতা মিটার স্কেলের সাহায্যে নির্ণয় করি। এক্ষেত্রে প্রতিটি সিঁড়ির উচ্চতা 20 cm পাওয়া গেল।

৪. সিঁড়ির উচ্চতাকে সিঁড়ির সংখ্যা দ্বারা গুণ করে ছাদের মোট উচ্চতা (h) নির্ণয় করি।

৫. একটি ওয়েট মেশিনের (ওজন মাপার যন্ত্র) সাহায্যে দুইটি ইটসহ আমার এবং আমার সহপাঠীদের ভর (m) নির্ণয় করি।
৬. অত:পর পর্যায়ক্রমে আমরা সবাই সর্বশক্তি প্রয়োগ করে ছাদের উপর উঠার জন্য দৌঁড় শুরু করি।
৭. প্রত্যেকের ছাদে ওঠার সময় (t) থামা ঘড়ির সাহায্যে নির্ণয় করি।

৮. প্রয়োজনীয় ছক এবং হিসাবের সাহায্যে প্রতিক্ষেত্রে আমার এবং আমার সহপাঠীদের ক্ষমতা (P) বের করি।

পর্যবেক্ষণ ও সন্নিবেশন:

ছাদের উচ্চতা, h = 20×60 = 1200 cm = 12 m

অভিকর্ষজ ত্বরণ, g = 9.8 ms⁻²

প্রয়োজনীয় ছক:

পদার্থবিজ্ঞান ব্যবহারিক: শিক্ষার্থীর শারীরিক ক্ষমতা বের করা

হিসাব:

রাহিমের ক্ষমতা = (55×9.8×12)/26 = 248.77 w
আব্দুল্লার ক্ষমতা = (52×9.8×12)/20 = 305.76 w
সায়েমের ক্ষমতা = (60×9.8×12)/24 = 294 w
আবীরের ক্ষমতা = (58×9.8×12)/28 = 243.6 w
শাওনের ক্ষমতা = (48×9.8×12)/30 = 188.16 w
সকল শিক্ষার্থীর গড় ক্ষমতা = (248.77+305.76+294+243.6+243.6)/5 = 256.058 w

ফলাফল বিশ্লেষণ:

রাহিমের ক্ষমতা = 248.77 w
আব্দুল্লার ক্ষমতা = 305.76 w
সায়েমের ক্ষমতা = 294 w
আবীরের ক্ষমতা = 243.6 w
শাওনের ক্ষমতা = 188.16 w
সকল শিক্ষার্থীর গড় ক্ষমতা = 256.058 w < আমার ক্ষমতা, 294 w

সবচেয়ে বেশি ক্ষমতা (আব্দুল্লার) = 305.76 w

সতর্কতা:

১. একটি সিঁড়ির উচ্চতা মিটার স্কেল দিয়ে সতর্কতার সাথে পরিমাপ করেছি।

২. ভবনটির সিঁড়ির সংখ্যা অতি সাবধানে গণনা করেছি।

৩. থামা ঘড়ির সাহায্যে প্রত্যেকের ভবনটির ছাদে উঠার সময় সঠিকভাবে পরিমাপ করেছি।

৪. সময়ের সঠিক পরিমাপের জন্য ভবনটি ছাদে একজনকে থামা ঘড়ি দিয়ে দাঁড় করিয়েছি এবং সময় গণনা শুরু করা জন্য লাল কাপড় দিয়ে ছাদে অবস্থানরত শিক্ষার্থীকে ইশারা করেছি।

আলোচনা:

এই পরীক্ষণের মাধ্যমে আমরা জানতে পারলাম যে, ক্ষমতা ও কাজ সময়ের উপর নির্ভর করে। যে যত কম সময়ে যত বেশি কাজ করতে পারে তার ক্ষমতা তত বেশি। এ পরীক্ষায় এটা জানতে পারলাম যে, আমার শারীরিক ক্ষমতা শ্রেণির সকল শিক্ষার্থীর গড় শারীরিক ক্ষমতা থেকে সামান্য বেশি।


পরিক্ষণ-১। স্লাইড ক্যালিপার্স দিয়ে কোনো কিছুর দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতা মেপে তার আয়তন বের করা। (কিভাবে লিখবেন?)
পরিক্ষণ-২। স্ক্রুগজ দিয়ে বেলনাকার বস্তুর প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল নির্ণয়। (কিভাবে লিখবেন?)
পরিক্ষণ-৩। ঢালু তলের উপর গড়াতে থাকা বস্তুর গড় দ্রুতি বের করা। (কিভাবে লিখবেন?)
পরিক্ষণ-৪। শিক্ষার্থীর শারীরিক ক্ষমতা বের করা। (কিভাবে লিখবেন?)
পরিক্ষণ-৫। কঠিন বস্তুর ঘনত্ব বের করা। (কিভাবে লিখবেন?)


শিক্ষা বিষয়ক সকল খবর সবার আগে পেতে চোখ রাখুন ShikkhaCare ওয়েবসাইটে।

শিক্ষামূলক ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই “E Shikkha” ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করে

3 thoughts on “এসএসসি পদার্থবিজ্ঞান ব্যবহারিক: শিক্ষার্থীর শারীরিক ক্ষমতা বের করা।”

Leave a Comment

error: Content is protected !!